রাজধানীর উত্তরা বিমানবন্দরের আশকোনা এলাকায় সড়কের দু’পাশে মারমুখি অবস্থান নিয়েছে তাবলিগ জামাতের দুটি অংশ। শনিবার ভোর থেকে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়ের এবং ভারতের মাওলানা সা’দের অনুসারিরা এই অবস্থান নেন।
সকাল ১০ টার কিছু পরে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা বিমানবন্দর এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে ধাওয়া-পল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের তীব্রতা বাড়তে থাকে। একপক্ষ অপরপক্ষকে ঠেকাতে বিমানবন্দর সড়কের উভয়পাশে অবস্থান নেয়ায় ওই রাস্তার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা, হাউজ বিল্ডিং, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত এলাকা তীব্র যানজট দেখা গেছে। উপায় না পেয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বিমানবন্দর থানার ওসি নূরে আজম মিয়া জানান, তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। এরই জেরে ভোরে একপক্ষ গাজীপুরের দিকে যেতে চাইলে অপরপক্ষ বাধা দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এক পক্ষ বিমানবন্দর সড়ক দখল করে অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার প্রবীর কুমার দাশ জানান, সংঘর্ষের পর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় সড়ক স্থবির হয়ে পড়েছে। তারা সড়কে অবস্থান নেয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, শুনেছি টঙ্গিতে তাদের জোড় অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু এখানে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ভোর বেলায় ঠেকাতে গিয়েই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে কীভাবে সড়কে যান চলাচল চালু রাখা যায় সে চেষ্টা চলছে। আমাদের অফিসাররা কাজ করছেন। ডাইভারসন করে রাস্তার একপাশে অন্তত: যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তাবলিগের বর্তমান আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশে তাবলিগ জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু। গত বিশ্ব ইজতেমার সময়ও এ নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছিল।